❖❖❖ Description ❖❖❖
গবেষণা, সাধারণ জ্ঞান এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের শেখায় যে, ছোট্ট কিছু অভ্যাসই আমাদের জীবন বদলে দিতে দারুণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। গোপন সূত্রটি হচ্ছে, আপনাকে নিরন্তর সাধনা করে যেতে হবে অভ্যাসগুলোকে আপন করে নেওয়ার। বিশাল জীবন, ক্যারিয়ার এগুলো গঠন করা বেশ শক্ত কিন্তু আপনি একটু চেষ্টা করলেই ছোট কোনো অভ্যাস খুব সহজেই আপন করে নিতে পারেন। বিজে ফগ, স্ট্যানফোর্ডের পারসুয়েসিভ টেক ল্যাবের ডিরেক্টর এসব নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন। ফল অনুযায়ী তিনি কয়েকটি ছোটখাটো অভ্যাস বের করেছেন যেগুলোর চর্চা করলে আপনি নিমিষেই আপনার জীবন বদলে ফেলতে পারবেন। চলুন সেগুলোর ব্যাপারে জেনে আসা যাক।
১। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন:
পানি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। অথচ আমরা এটিকেই অবহেলা করে থাকি। দিনভর এত ব্যস্ততার মধ্যে থাকি যে ঠিকমতো পানিই পান করা হয় না। চা, কফি কিংবা সোডাকে আমরা বেশ গুরুত্ব দিই কিন্তু পানিকে নয়। এক্ষেত্রে আপনি একটি কাজ করতে পারেন, অফিসের ডেস্কে কিংবা আপনার আশেপাশেই পানির গ্লাস কিংবা বোতল রেখে দিন এবং একটু পর পর পানিতে চুমুক দিন। দেখবেন ধীরে ধীরে এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে।
২। কাঁচা শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণ করুন:
প্রত্যেকবার খাবারের তালিকায় শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন। উদাহরণস্বরূপ হতে পারে: সালাদ, এক ফালি তরমুজ, গাজর, শশা ফালি ফালি করে কাটা ইত্যাদি। এগুলো খাওয়ার সাথে সাথে আপনি পুষ্টি তো পাবেনই এর সাথে সাথে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া হবে এবং ওজনও কমবে।
৩। কাজের মাঝে উঠে একটু হাঁটুন:
যারা অফিসে বসে একটানা কাজ করেন, তাদের জন্য এই টিপস। মাঝে মাঝে উঠে একটু আড়মোড়া ভাঙ্গুন এবং হাঁটাহাঁটি করুন। পাশের ডেস্কে আপনার যে সহকর্মী বসে কাজ করছে, তার সাথে একটু গল্প করে আসুন। একটু চা-কফি কিংবা পানি খান। দেখবেন বেশ সতেজ লাগছে এবং কাজে আপনি দ্বিগুণ জোর পাচ্ছেন।
৪। ব্যাগে শুকনো খাবার রাখুন:
কাজের ফাঁকে নিশ্চয়ই আমাদের সবারই একটু ক্ষুধা পায়। সেক্ষেত্রে বড় একটি মিল না খেয়ে শুকনো খাবার যেমন; বাদাম, কিসমিস, মুড়ি এগুলো খেতে পারেন। এগুলোতে ক্যালোরি কম থাকে এবং সেই সাথে আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।
৫। প্রশ্ন করুন:
মানুষের ব্যাপারে নিজের মনগড়া কোনো মতামত না দিয়ে প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে আপনিও যেমন অনেক কিছু জানতে পারবেন, তেমনি আপনার মনও অনেক খোলাসা হবে। এমন কোনো প্রশ্ন করবেন না যেগুলোর উত্তর সংক্ষেপে ‘হ্যা\না’ দিয়ে দেওয়া যায়। বরং এমন প্রশ্ন করুন, যেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আপনি অনেক তথ্য জানতে পারবেন। নতুন বন্ধু বানান, নিজের জীবনকে নতুনভাবে দেখতে, জানতে ও উপভোগ করতে শিখুন।
৬। প্রতিদিন কিছু মুহূর্ত একদম নীরবে বসে থাকুন:
প্রতিদিন কাজের ফাঁকে কিছু সময় অন্তত চুপচাপ বসে থাকুন। না, আপনাকে মেডিটেশন কিংবা ধ্যান করতে বলা হচ্ছে না। বরং আপনি মাথায় হাজারো চিন্তা নিয়েই চুপচাপ বসে থাকুন। বেশ কয়েকবার জোরে জোরে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। দেখবেন, অনেকখানি স্বস্তিবোধ করছেন।
৭। লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন:
প্রতিটি ব্যস্ততম দিন শেষে সারাদিন কি কি করলেন তা লিখে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কোন ব্যাপারটিতে আনন্দ পেয়েছেন, কিসে কষ্ট পেয়েছেন, কেমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন এবং আগামীকাল কি কি করবেন সবই লিপিবদ্ধ করে রাখুন। দেখবেন, বেশ হালকা হয়ে ঘুমোতে যেতে পারছেন এবং ভালো বোধ করছেন।
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন অভ্যাসগুলো কিন্তু বেশ ক্ষুদ্র ও সহজ। এগুলো নিজের জীবনে কাজে লাগান এবং বদলে যান আজ থেকেই।
Comments
Post a Comment