সাদা চাল, নাকি ব্রাউন রাইস, কোনটা বেশি উপকারি





স্বাস্থ পরামর্শঃ সাদা চাল, নাকি ব্রাউন রাইস, কোনটা বেশি উপকারি?

Bangla Health Tips: White Rice or Brown Rice, Which is More Beneficial?

Produced: BiVinNo Multimedia

Voice: Shirina Khatun

Director: Simsan Mallick

Editing: Tarikul Raana, Shajahan Islam (Nadim)

Photos: Stock Photos

Language: Bengali

Label: BiVinNo Multimedia



❖❖❖ Description ❖❖❖

স্বাস্থ্য সচেতন প্রতিটা বাঙালির মনেই একটা প্রশ্ন কোনও না কোনও সময় নিশ্চয় এসেছে যে ব্রাউন রাইস বাস্তবিকই উপকারি, নাকি সাদা ভাতেই রয়েছে পুষ্টির আঁধার। প্রশ্নটা যে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদেরও ভাবায়নি, এমন নয়।



তাই তো চলেছে অনেক গবেষণা। তাতে যা ফল পাওয়া গেছে, তা বাস্তবিকই চমকপ্রদ!

একাধিক প্রচীন নথি ঘেঁটে চিকিৎসকেরা জানতে পেরেছিলেন যে আধুনিক সভ্যতার জন্ম নেওয়ার আগে গ্রাম বাংলার মানুষেরা ঢেঁকি ছাঁটা চালই খেত, যাকে আধুনিক সমাজ ব্রাউন রাইস বলে চেনে। এই চালটি পালিশ করা হত না। ফলে পুষ্টিগুণ হারিয়ে যাওয়ারও কোনও সুযোগই ছিল না। তাই তো এমন চাল খাওয়ার কারণে সে সময়কার মানুষদের শরীরে কোনও রোগই বাসা বাঁধতে পারতো না।



কিন্তু সময় যত এগিয়েছে বদলেছে মানুষের জীবনযাত্রা, সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে বদলে। ঢেঁকি ছাঁটা চালের জায়গা নিয়েছে পলিশ করা চাল। তাই তো বেড়েছে রোগ, কমেছে গড় আয়ু।



এমন পরিস্থিতে সেই আদিকালে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় আছে বলে তো মনে হয় না।



কারণ তুল্যমূল্য বিচার করলে সাদা ভাতের থেকে ব্রাউন রাইস অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। শুধু তাই নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ব্রাউন রাইসে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং ব্রেন পাওয়ার বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত ব্রাউন রাইস খাওয়ার অভ্যাস করলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন...

১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে

বেশ কিছু স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ব্রাউন রাইসে উপস্থিত ফাইবার, পলিফেনল এবং পাইটিক অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে থাকা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। ফলে সুগার লেভেল হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। কিন্তু সাদা ভাত খেলে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। সেই কারণেই তো ডায়াবেটিকদের সাদা ভাত খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।



২. শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়

ব্রাউন রাইসে থাকা পুষ্টিকর উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে একদিকে যেমন শরীরকে বিষমুক্ত করে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত, ব্রাউন রাইসের অন্দরে সুপারঅক্সাইড নামে একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের খোঁজ পাওয়া যায়, যা কোষেদের ক্ষতি হওয়ার থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে সেলেদের শরীরে অক্সিডেশন ড্যামেজ যাতে বেশি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের ক্ষয় রোধ হয়, সেই সঙ্গে রোগ ভোগের আশঙ্কাও কমে।



৩. ওজন কমায়

অতিরিক্ত ওজনের কারণে চিন্তায় রয়েছেন? এদিকে ভাত ছাড়া বাঁচা বেশ কঠিন? তাহলে তো ব্রাউন রাইস খাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই। এই বিশেষ ধরনের চাল দিয়ে তৈরি ভাত, শরীরে প্রবেশ করার পর আমাদের দেহের বিভিন্ন জয়গায় জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল এর মাত্রা বাড়ায়। ফলে একদিকে যেমন ওজন কমতে থাকে, তেমনি অন্যদিকে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।



৪. অ্যালঝাইমার রোগ দূরে থাকে

ব্রাউন রাইসে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের অন্দরে প্রোটিলেন্ডোপেটিডেস নামক একটি ক্ষতিকর এনজাইমের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে ব্রেনের ডিজেনারেশন হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। আর এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ডিমেনশিয়া, অ্যামেনসিয়া এবং অ্যালঝাইমার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।



৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়

প্রতিদিন ব্রাউন রাইস খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ফাইবারের ঘাটতি দূর হয়। ফলে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটার মধ্যদিয়ে একদিকে যেমন হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি কনস্টিপেশনের মতো রোগও দূরে পালায়। তাই যাদের জীবন গ্যাস-অম্বলের চোটে জর্জরিত, তারা ব্রাউন রাইস খাওয়া শুরু করতে পারেন। দেখবেন উপকার মিলবে।



৬. হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ব্রাউন রাইস খাওয়া শুরু করলে শরীরে সেলেনিয়াম নামক একটি উপাকারি উপাদানের ঘাটতি দূর হয়। এই উপাদানটি আর্টারির দেওয়ালে জমতে থাকা ময়লা দূর করে হার্টে রক্ত প্রবাহের উন্নতি যেমন ঘটায়, তেমনি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলকে স্বাভাবিক রাখার মধ্যদিয়ে হার্টের দেখভালেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।



৭. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে

গত কয়েক দশকে যেভাবে সারা বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে, তাতে ব্রাউন রাইস খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরও বৃদ্ধি পয়েছে। কেন এমন কথা বলছি, তাই ভাবছেন তো? আসলে ব্রাউন রাইসের শরীরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোলন এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণাতে এও দেখা গেছে যে লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সারের প্রতিরোধেও এই চালটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।



➤ Visit Our Website - https://www.bivinno.com

➤ Subcribe Us on YouTube - https://www.youtube.com/bivinno

➤ Like Us on Facebook - https://www.facebook.com/BiVinNo

➤ Fllow Us on Twitter - https://www.twitter.com/BiVinNo

Comments